অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া : পর্বসংখ্যা-২৪, বিজ্ঞান
চতুর্থ অধ্যায় : উদ্ভিদের বংশ-বৃদ্ধি- সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সরকারি মুজিব কলেজ, কাদেরনগর, সখীপুর, টাঙ্গাইল
- ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০৫
সুপ্রিয় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের ‘চতুর্থ অধ্যায় : উদ্ভিদে বংশ-বৃদ্ধি’ থেকে একটি নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
নিচের চিত্র লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(ক) জনন কাকে বলে? ১
(খ) পু®পমঞ্জরি বলতে কী বোঝায়? ২
(গ) উদ্দীপকে P ও Q অংশের বিবরণ দাও। ৩
(ঘ) উদ্দীপকের ‘R’ ফলে রূপান্তরিত হতে পারে কী? তোমার মতামত দাও। ৪
উত্তর : ক. যে জটিল প্রক্রিয়ায় জীব তার প্রতিরূপ বা বংশধর সৃষ্টি করে তাকে জনন বলে।
খ. কাণ্ডের শীর্ষমুকুল বা কাক্ষিক মুকুল থেকে উৎপন্ন একটি শাখায় ফুলগুলো বিশেষ একটি নিয়মে সাজানো থাকে। ফুলসহ এই শাখাকে পুষ্পমঞ্জরি বলে। পরাগায়নের জন্য এর গুরুত্ব খুব বেশি।
গ. উদ্দীপকে P অংশ হলো পাপড়ি। Q অংশ হলো পুংকেশর।
পাপড়ি : কতগুলো পাপড়ি মিলে দলমণ্ডল গঠন করে। এর প্রতিটি অংশকে দল বলে। দলমণ্ডল রঙিন হওয়ায় পোকামাকড় ও পশুপাখি আকর্ষণ করে ও পরাগায়ন নিশ্চিত করে। পুংকেশর : পুংস্তবকের প্রতিটি অংশকে পুংকেশর বলে। এর দণ্ডের মতো অংশকে পুংদণ্ড ও শীর্ষের থলির মতো অংশকে পরাগধানী বলে।
ঘ. উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্রের R চিহ্নিত অংশটি হলো গর্ভাশয়। গর্ভাশয় (R) রূপান্তরিত হয়ে ফলে পরিণত হয়। এ সম্পর্কে যুক্তিসহকারে মতামত উপস্থাপন করা হলো :
পরাগায়নের ফলে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়। এখান থেকে নিঃসৃত রস শুষে নিয়ে এটি ফুলে ওঠে এবং এ আবরণ ভেদ করে একটি নালি বেরিয়ে আসে। এটিকে পরাগনালি বলে। পরাগনালি গর্ভদণ্ড ভেদ করে গর্ভাশয়ে ডিম্বকের কাছে গিয়ে পৌঁছে। ইতোমধ্যে এ পরাগনালিতে দু’টি পুং গ্যামেট সৃষ্টি হয়। ডিম্বকের ভেতরে পৌঁছে এ নালিকা ফেটে যায় এবং পুংগ্যামেট দু’টি মুক্ত হয়। ডিম্বকের ভেতর ভ্রƒণথলি থাকে। এর মধ্যে স্ত্রী গ্যামেট বা ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়। পুং গ্যামেটের একটি স্ত্রী গ্যামেটের সাথে মিলিত হয়। এভাবে নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষ হয়। নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই ফল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়া গর্ভাশয়ে যে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তার কারণে ধীরে ধীরে গর্ভাশয়টি ফলে পরিণত হয়। এ ডিম্বকগুলো বীজে রূপান্তরিত হয়। নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে তাকে ফল বলে।